আমি জানি,মুসলমানদের উপর অাক্রমণ করা ও তাদেরকে হত্যা করা অমুসলিমদের সৈন্যদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।আর এই আক্রমণকে বৈধতা দেয়ার জন্য পাশ্চাত্য মিডিয়া তাদের পুরো মেধাশক্তি ব্যয় করে।
এর বিপরীতে পৃথিবীর কোথাও যদি কোন ঘটনায় একাধিক অমুসলিম মারা যায়,তাহলে সেটাকে মুসলিম হামলা বলে অভিহিত ইসলামকে বিতর্কিত করার জন্য মিডিয়া সুযোগ খুজে বেড়ায়।
২০১১ এর ২২ শে জুলাই নরওয়েতে ব্রেইভিক নামের এক যুবক একটি দ্বীপের শিবিরের উপর গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করে ও শতাধিক আহত করে।সে গ্রেফতার হবার পরে মিডিয়া জঙ্গী,সন্ত্রাস,খুনী শব্দগুলো বলতে বেমালুম ভুলে যায়।তাকে আদালতে পেশ করার সময়ে তাকে পাগল ও মস্তিষ্কবিকৃত বলে তার সাজাকে যাবজ্জীবনে নিয়ে আসা হয়।
এখন ফ্রান্সের ঘটনার চোখে ঐ ঘটনাটিকে পর্যবেক্ষণ করুন।
একই রকম হত্যাকান্ড হলো,কিন্তু ঘটনাটির মূল হোতাদের খুজে পাওয়া গেলোনা।আর এরই সুযোগে মিডিয়া এটিকে মুসলিম রংয়ে রাঙ্গিয়ে ফেলেছে।হয়ত কিছুদিন পরে দেখা যাবে,কিছু মানুষকে গ্রেফতার করে তাদের মুসলিম দাবী করে এই ঘটনাটি যে মুসলিমরাই ঘটিয়েছে,সেটি প্রমাণ করা হয়ে যাবে।
অথচ প্রতিনিয়ত মুসলিম জনপদে এরকম হত্যাকান্ড চলে আসছে।তাদেরকে কেউ মানুষ বলে মূল্যায়ন করেনা।তাদের জন্য কেউ সেই সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী বলে দাবী রাখেনা।সেইসব সন্ত্রাসীরাই আজ ফ্রান্সের এই হত্যাকান্ডের পক্ষে মানবতার গান গাইছে।
মানুষ যখন কাউকে ঘৃণা করে,তখন সেই ঘৃণার ব্যক্তিটিও যখন কারো পক্ষে কথা বলে,তখন সেই পক্ষের উপরও অবচেতনভাবে একটা ঘৃণা চলে আসে।আর সেই ঘৃণা যত সময় অতিক্রম করে,সময়ের সাথে সাথে ঘৃণাটাও বাড়তে থাকে।
একজন মুসলিম হিসেবে যেকোন ধরণের হত্যাকান্ডের বিরোধী।হোক সেটা ফ্রান্সের সুরক্ষিত কোন স্হানে বা ফিলিস্তিনের মত কোন অবহেলিত পল্লীতে……..
আর সকল ধরণের হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
Views: 0