অজানা ঠিকানায় আমার বিরহপত্র
হে ইচ্ছার ভূবনের শুভ্র সাদাপরী!
জানি হৃদয় বানী ছুঁতে পারবেনা প্রেয়সীর চরন। তবুও অদ্ভূত অজানা অপরিমাপযোগ্য শিহরন রবে স্বমহিমায় তারই জন্যে অক্লান্তভাবে নিবেদিত। ধরনীর অনুভূতিগুলো স্পর্শ করবেনা আমার আকুতি ও হৃদয়াবেগ। আকুতিরা হারিয়ে যাবে নীলাকাশে। আবেগের গোঙ্গানী নি:শব্দে অনাকাংখিত শব্দের সাথে মিলে মিলিয়ে যাবে মহাকালের গর্ভে।
প্রেয়সী কাদঁবেনা।মন খারাপও করবেনা।তার ভাবনার সাগরজলের কোন বিন্দুও আমি নই। ন্যানোসেকেন্ডের ভাবনার অতলান্ত সীমারেখায়ও আমি নেই। তার নুপুরের নিক্কনে চুড়ির অনুরননের সাথী আমি নই। ঘন এলোমেলো কালো চুল প্রাকৃতিক সরু ভূরুর আশে পাশে আমার অস্তিত্ব কখনো খেলা করবে না। কানের দুলেরা গলার লকেটের সাথে হাসিতে চিকমিক করে উঠলেও সেই উদ্ভাসিত মূহুর্তের কোন স্মৃতি আমাকে কখনো স্পর্শে আন্দোলিত করবেনা কারন প্রেয়সীর মনন কুঞ্জে আমি ভ্রমন করতে পারিনি। সুরেলা কন্ঠ মায়াবতী চেহারার সাথে মিলে ছন্দময় আওয়াজ শুভ্র দন্ত ও ঠোট ছুঁওয়ার মূহুর্তটি মোর নয়ন ছুবেনা কোনদিন।
এ এক অদ্ভূত ব্যদনার সোনালী কাব্য। এটি বিরহের তাজমহল। এটি প্রশান্ত সাগরের বর্নিল একাকী জলরাশি। ভালবাসার কম্পাঙ্করা যেতে পারেনি তার হৃদয় মিনারে ।এ আমার গোস্তাকী না হলেও আমি মর্মাহত। সাদাপরী উড়ে গেছে সোনামনি হয়ে বনফুল রুপে ফুটবে বলে। বনফুল গন্ধ আমার নাসারন্ধ্রে আসেনি। আমাকে ভালবাসেনি। নেত্রে তাই মুক্তার মত স্বচ্ছ পানি বিন্দু। জেনে রেখ এ আমার শেষ অভিমান।
আমি
সেই গ্রামের ছেলেটা।
একদম অজপাড়া গাঁ। যেখানে কাদা আছে। সোঁদা মাটির গন্ধ আছে। সবুজের সমারোহ আছে। কোকিলের ডাক আছে। জোনাকীর আলোও আছে। চাইলেই হাতটি ধরতে পার।
Views: 0
One Comment
সীমান্তের বিদ্রোহী
বহুদিন পরে আসলেন।স্বাগতম 🙂